কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের চাকা মাঝ আকাশে খুলে পড়ার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ‘বিয়ারিং ফেইলিওর’ বা বিয়ারিংয়ের ত্রুটিকে দায়ী করেছে বিমান কর্তৃপক্ষ। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, চাকার বিয়ারিংয়ে ত্রুটির কারণে এটি খুলে পড়ে যায়। ঘটনার পরপরই উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে কারিগরি সহায়তা চাওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা বিশেষায়িত একটি কারিগরি দল ঢাকায় পাঠাচ্ছে, যা দ্রুতই এসে তদন্তে অংশ নেবে। তবে কী কারণে ‘বিয়ারিং ফেইলিওর’ হয়েছিল, সেটি তদন্তের পর জানা যাবে। চাকা খুলে পড়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ও তদন্তে বিমান কর্তৃপক্ষ দুটি কমিটি গঠন করেছে। গত ১৬ মে কক্সবাজার থেকে দুপুর দেড়টার দিকে উড়তে শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি-৪৩৬’ ফ্লাইটটি। ওড়া শুরুর পরেই দেখা দেয় বিপত্তি; খুলে পড়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশের একটি চাকা। ওই ফ্লাইটে ৭১ জন যাত্রী এবং দুজন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ, যার প্রায় আট হাজার ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার জায়েদ। পাইলট ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টারে। এরপর ফ্লাইটটি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, ইমার্জেন্সি প্রটোকলসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় রানওয়েতে। এর মধ্যে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে। উড়োজাহাজটি নির্দিষ্ট পার্কিং বে-তে পৌঁছানোর পর প্রকৌশলীরা বাম দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা (দুই নম্বর) না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে খুলে পড়া চাকাটি পাওয়া যায় কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। উড়োজাহাজটি ছিল কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮৪০০ মডেলের।
0 Comments
Your Comment